ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২১জন টেটাঁবিদ্ধ সহ অন্তত ৪০জন আহত হয়েছে। এসময় ৩টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আ.লীগের সদস্য ফরিদ মিয়ার সাথে স্থানীয় সোনারামপুর ইউনিয়নের আ.লীগে সাবেক সভাপতি একই গ্রামের মতিউর রহমান সরকার ওরফে মতি মেম্বারের সাথে কয়েকদিন যাবত বিরোধ চলছিল। বিরোধ মিটাতে বুধবার সকাল ১০টার সময় সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। উভয়পক্ষের লোকজন বৈঠকে উপস্থিত হলেও বৈঠক শেষ না করে চলে যায় এবং বেলা দুপুর ১টার দিকে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় ২১ জন টেটাবিদ্ধসহ ৪০জন আহত হয়।
সংঘর্ষের সময় টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন জয় মালা বেগম (৩৫), মোক্তার হোসেন (৩০), সাব মিয়া (৪০), জালাল মিয়া (৫০), সোহরাব হোসেন (৩০), দুলাল মিয়া (৩৫), কামাল মিয়া (৪০), সাইদ মিয়া (৩০), জিয়া উদ্দিন (৪০), নুরুল ইসলাম (৫০), সহিদ মিয়া (৬০), সাইদুর রহমান (২৫), ইউনুছ আলী (৪০), শিমুল (৩০), ইসমাইল হোসেন (৪০), খোকন মিয়া (৩৫), মোছেন মিয়া (৫০), ফরহাদ মিয়া (৪৫), ফারুক মিয়া (৪৫), মন্টু মিয়া (৪০), কামাল মিয়া (৩০)।
আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে সোনারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান সরকার বলেন, ফরিদ মিয়া, সুলতান মাস্টার, ইব্রাহীম, ছালাম মিয়া ও চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে কোন কারণ ছাড়াই আমাদের গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এই সময় আমাদের গ্রুপের ১৫-২০জনকে টেটাবিদ্ধ সহ আহত করে এবং ৩টি বাড়ি ভাংচুর করে।
উপজেলা আ.লীগের সদস্য ফরিদ মিয়া জানান, মতির সাথে বিএনপির কিছু লোকজন যোগ দিয়েছে, তারা নির্বাচন সময় থেকে নানা রকম উসকানি দিয়ে আসছে। আজ কোন কারণ ছাড়া আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। আমাদের পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, ফরিদ ভাই ও মতি ভাইয়ের দলের মধ্যে সমস্যা চলে আসছিল। বুধবার আমার অফিসে দুই দলের ২০ জন করে আসতে বলি। বৈঠক শেষের আগে দুই পক্ষের লোকজন শান্তিপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই দলের প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫-২০ জন টেটাবিদ্ধ।’’
এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান শান্তিপুরের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমিসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
Leave a reply