নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে ঐক্যফ্রন্ট

|

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রার্থীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এবারের নির্বাচনে ২৯৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকটি দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে চলে দেড়টা পর্যন্ত। বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মামলা করার সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

ঐক্যফ্রন্ট থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের শপথের বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

এছাড়া ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রহসন দাবি করে আজ বিকাল ৩টায় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোট বাতিল চেয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি দেবে।

এদিকে জাতীয় সংসদ ভবনে যখন নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ সম্পন্ন হল, তখন পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসল বিএনপি। বৈঠকে শুধু বিএনপি-ই নয়, সঙ্গে দুই রাজনৈতিক জোটের প্রধান শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রমতে, প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘ভোট কারচুপি’, ‘কেন্দ্র দখল’, ‘ভোট ডাকাতি’র তথ্য ও অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ আকারে দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে। বিদেশি কূটনীতিকদেরও বিষয়গুলো জানানো হবে।

বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলা হবে যে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানাবে বিএনপি ও শরিকরা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ দলটির সিনিয়র নেতারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply