ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে টিভি চোর সন্দেহে রানা বিশ্বাস নামের এক কৃষককে কাঠাল গাছে উল্টো করে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তাহের হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমান তুহিন ও অপর নেতা কাজী বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িতরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালী হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতন হওয়া পরিবার। এ দিকে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা তুহিন, তার ভাই বাবু হোসেন, সমির হোসেন ও কাজী বাবুলসহ ৬/৭ জন গত ২৭ ডিসেম্বর একই গ্রামের রানা বিশ্বাসকে মাঠ থেকে ধরে নিয়ে আসে। শ্রীপুর বাজারের নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় থেকে তুহিন হোসেনের টিভি চুরি করেছে বলে চোর অপবাদ দিয়ে ওইদিন সকাল ১১টায় স্থানীয় বাজারের কাঠাল গাছে দড়ি দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে রানাকে। প্রকাশ্যে এ নির্যাতন তিনঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। রানার মা ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন ছুটে আসলেও তাদেরকেও মারপিট করা হয়।
এ ঘটনার চিত্র স্থানীয় এক যুবক ভিডিও করে শুক্রবার রাতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। গোটা জেলায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে গ্রামবাসী জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।
পরে আহত রানাকে প্রথমে কুষ্টিয়া সদরে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসা শেষে রোববার রাতে বাড়িতে ফিরে আসে।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে প্রশাসনের সহযোগিতায় আহতের পিতা ওমর আলী বাদি হয়ে তুহিন হোসেন তার ভাই বাবু হোসেন, একই গ্রামের সমির হোসেন ও কাজী বাবুলকে আসামি করে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
গতরাত ১০টার দিকে শাহিনুর রহমান তুহিন ও কাজী বাবুলকে শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a reply