নতুন করে রোহিঙ্গাদের আরও একটি পরিবারকে জোরপূর্বক মিয়ানমারের ফেরত পাঠিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার পাঁচ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবারকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পর ভারতের সমালোচনা করলো মানবাধিকার সংস্থাটি।
ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, ওই পরিবারটি ২০১৩ সাল থেকে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে একটি কারাগারে বন্দি ছিল। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রথম ধাপে সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত পাঠিয়েছিল ভারত।
রোহিঙ্গাদের এই জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আর মানবাধিকার গ্রুপগুলো হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এসব ব্যক্তিদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে দিল্লি।
বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে অধিকাংশ মানুষই রোহিঙ্গাদের ঘৃণা করে। তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ এবং তাদেরকে মিথ্যাভাবে ‘বাঙালি’ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া’র আবির ভি. পি. এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অনবরত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের বহিষ্কার আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ভারতের দায়বদ্ধতার লঙ্ঘন; ওই আইনে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে এমন অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী লোকদের ফেরত দেয়ায় বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
Leave a reply