সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়নের পরই হবে ডাকসু নির্বাচন। আগামী মার্চেই তা করতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্র সংশোধন করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে বৈঠক শেষে এ কথা জনান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় হলগুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্জনের সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। অথচ দীর্ঘ আটাস বছর দেশের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নেই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ।
নির্বাচনী পথে আইনী ও রাজনীতির নানা বাধা ছিলো। ৭ জানুয়ারী সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে কেটেছে ডাকসু নির্বাচনের আইনী বাধা।
নির্বাচন নিয়ে তাই সক্রিয় হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোও।
দ্রুত নির্বাচনের লক্ষ্যে তফসিল চেয়েছে ছাত্রলীগ। এরই মধ্যে কর্মীসভা করেছে সংগঠনটি। চূড়ান্ত করেছে প্রার্থী প্যানেলও।
তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি। ডাকসু হলে সেই চাহিদা পূরণ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে বলেও দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের। ডাকসু নির্বাচনের জন্য হলগুলোতে শান্তিপূর্ন অবস্থান রয়েছে বলেও দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও। তবে প্রতিবন্ধকতাও আছে সংগঠনটির। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। এ অবস্থায় ডাকসুর মতো নির্বাচন কতটুকু করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা। তাদের দাবি সবার আগে ক্যাম্পাসে সকল সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর ছাত্রদল নেতারা বলছেন, এখন নির্বাচনের পরিবেশ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশেরই সুযোগ পাচ্ছেন না। সহাবস্থান ছাড়া এই নির্বাচন প্রহসন হবে বলেও মন্তব্য করেন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা।
তবুও নির্বাচন হলে নিজেদের অংশগ্রহণ থাকবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা। আর সে জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথাও বলেন ছাত্রদলের নেতারা। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি করেন তারা।
Leave a reply