স্টাফ রিপোর্টার,নাটোর:
নাটোরে মুন্নী পারভীন নামের এক শিক্ষিকাকে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে মানহানি ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বাগাতিপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বাগাতিপাড়া উপজেলার চন্দ্র খৈইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুন্নী পারভীন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সকালে তিনি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন শেষে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজে পোলিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে সন্ধ্যার পরে তার বাবা মোজাম্মেল ফকিরের বাড়ি হাট গোবিন্দপুরে যান। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে বাগাতিপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে পুলিশ তার বাবার বাড়িতে তল্লাশী চালায়। কিন্তু বাড়িতে কিছু না পেয়ে বাড়ির বাহিরে থেকে একটি বস্তা এনে তাতে গাঁজা আছে বলে বাড়ির লোকজনকে খুঁজতে থাকে। বাড়িতে বাবা ও ভাইকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানী তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে, তার স্বামী ও মাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের সামনে দুইটি গাঁজার প্যাকেট দিয়ে ছবি তুলে মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দেয় এবং তাকে, তার স্বামী আমির হোসেন ও বাবাকে অভিযুক্ত করে ১৮ ডিসেম্বর তাদের আদালতে চালান দেয়। পরে তাকে ও তার স্বামীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মুন্নী পারভীন অভিযোগ করেন এর আগে তার ব্যক্তিগত কারনে নিরাপত্তা চেয়ে বাগাতিপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করলে এই সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানী তাকে চাপ দিয়ে তা প্রত্যাহার করিয়ে নেন।
এই মিথ্যা মামলা ও তার প্রেক্ষিতে করা সংবাদে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানীর বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে তিনি ছিলেন এটা ঠিক। কিন্তু এ মামলার আইও তিনি নন। তাছাড়া শিক্ষিকা মুন্নী পারভীনের সাথে তার কোন বিরোধও নেই।
Leave a reply