প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর দেশের মানুষ তার দলকে ভোট দিয়ে যে আস্থা রেখে তার মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিতেও তিনি প্রস্তুত রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে তাদের মূল্যবান ভোট আমাদেরকে দিয়েছে। এই ভোটের সম্মান আমি রক্ষা করবো। আমার পিতা এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। এদেশের অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করে তাদের জীবনমান উন্নত করবার জন্যে প্রয়োজনে আমি আমার বুকের রক্ষ দিতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আজ এ ওয়াদা করে যেতে চাই। আমি এটুকুই বলবো, দেশের মানুষ যে বিশ্বাস রেখেছে তার মর্যাদা আমার জীবন দিয়ে হলেও করে যাবো।”
শেখ হাসিনা বলেন, “একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এই বিজয় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির, আপামর জনগণের। আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে এটা সত্য। যখন দায়িত্ব পেয়েছি, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই দল মত প্রত্যেকের জন্য কাজ করবো। সবার রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করবো। প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলের তরে, সকলের জন্য। সকলের জন্য কাজ করবো।”
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা বিজয়ের সম্মান রক্ষা করে সুষম উন্নয়ন করে যাবো মানুষের জন্য। এই রায় সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে রায়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এটি মাথায় রাখতে হবে। কঠিন দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। সেই দায়িত্ব আমাদের নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব এটাই হচ্ছে আমাদের অঙ্গীকার। আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করবো। এই সমাবেশে আমি এটিই বলে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশকে গড়ে তুলতে সব শ্রেণি পেশার মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
সমাবেশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Leave a reply