প্রতারণার অভিযোগে বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে তাকে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দিন সুষ্ঠু তদন্তসহ নানা কারণ দেখিয়ে আসামিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে কায়সার হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘এ মামলার বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে আসামি কিছুই জানেন না। যেকোনও শর্তে জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন দিলে পলাতক হবেন না।’
আদালতে আসামির স্ত্রী শাহানাজ সুলতানা কায়সার হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানিটি ছিল শ্রীলঙ্কার। ওরা বাংলাদেশে এসে ব্যবসা শুরু করে। পরে কায়সারও এর সদস্য হন। ওই কোম্পানি নিজেরাই আমাদের টাকা নিয়ে চলে যায়। এছাড়া এ কোম্পানিতে আমাদের পরিবারের লোকজনের টাকাও আছে। আমাদের টাকাও আত্মসাৎ করেছে। এখানে কায়সারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এদিকে আজ দুপুরে নিজের আইডি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কায়সার হামিদ বলেন, ওই কোম্পানির প্রতারণার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি তখন ওখানে জব করতাম কনসালটেন্ট হিসেবে। তখনই ওদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আমি চাকরি করার কারণে হয়রানির মধ্যে পড়ি।
তিনি আরও বলেন, এত হাজার কোটি টাকা মানুষ নেয় তাদেরকে কিছুই করা হয় না। আর সামান্য কিছু টাকা অবব্যহারের কারণে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ৫ বছর আগের ঘটনা। এ নিয়ে আমার কিছু জানা ছিল না।
Leave a reply