জমিদার বাড়ি থেকে ছাপাখানা। মালিকানার পরিবর্তনে হয়ে গেল আবাসিক হোটেল। বলছি পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিংয়ের কথা। এটি এমন এক বোর্ডিং যেখানে শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিকের প্রাণের জায়গা হয়ে ওঠে। এর পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে গৌরব-গাঁথা নানা স্মৃতি।
পুরো ষাটের দশকে জায়গাটিকে ঘিরে এক সংগ্রামী সমাজ তৈরি হয়। তাদের হাতে এগিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। সেই স্মৃতি রোমন্থনে জড়ো হয়েছিলেন ৬০’র দশকের বিপ্লবীরা। স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তারা দাবি জানালেন, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থানটি যেন সংরক্ষণ করা হয়।
দীর্ঘদিন পর পুরনো সাথীদের সাথে একত্র হয়ে বিপ্লবীরা যেন ফিরে যান ষাটের দশকের সেই সময়ে। নেচে-গেয়ে, আড্ডায় মাতিয়ে রাখেন পুরো সময়টা। এক বিপ্লবীর কণ্ঠে শোনা গেলো ‘জয় বাংলার গান; এসো মুক্তিবাদের সাথী; ওরে, মুক্তিরণের সাথী’ গানটি।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিপ্লবীরা জানান, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এই সমস্ত কিছুর সাথে বিউটি বোর্ডিং অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলো।
তারা আরো জানান, ওই সময়ে আমাদের সবার প্রিয় জায়গা ছিলো এটি। যারা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী তারাই এখানে আসতো।
চিত্রনায়ক ও এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক জানান, আমরা যারা ক্ষুধার্ত থাকতাম তারা এখানে চলে আসতাম। এখানে বিনে পয়সায় খেতে পারতাম। শুধু বলতাম, দাদা, লিখে রাইখো।
এই বিপ্লবীরা দেশ সৃষ্টিতে যেমন অবদান রেখেছেন তেমনি দেশ গঠনেও রেখেছেন ভূমিকা। রাষ্ট্র বাংলাদেশকে করেছেন আলোকিত। বিপ্লবীদের মতো বয়স বেড়েছে বিউটি বোর্ডিংয়েরও। তবে এখনো সমান উজ্জ্বল এর ঐতিহ্য।
Leave a reply