গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আবারও বেসরকারি ফলাফলে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আ’লীগের ডা. ইউনুস আলী সরকার। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙল প্রতিকে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৫ ভোট।
রবিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সাদুল্যাপুর ও উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তারা।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটানিং অফিসার মো. মেজবাউল হোসেন ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬৪টি ভোট কেন্দ্রে প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে ডা. ইউনুস আলী সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৮৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে ব্যরিস্টার দিলারা শিল্পী পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫৭ ভোট। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাসদের মশাল প্রতীকে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি পেয়েছেন ২ হাজার ১৬২ ভোট। ৬৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটে ইউনুস আলী সরকার ৬১ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকায় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে, সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটানিং অফিসার মোছা. রহিমা খাতুন জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মোট ৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে আ’লীগের প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার নৌকা প্রতিকে ৫৯ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬২৮ ভোট। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মশাল প্রতিকে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৬৮ ভোট।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন। ১৩২ ভোট কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় ভোট গ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ আসনে মোট ভোটারের মধ্যে ৩৯.১৭ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এরআগে, সকাল ৮টায় সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। তবে দুপুরের পর ভোট কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি বাড়ে। নির্বাচনকে ঘিরে আড়াই হাজার পুলিশ, দেড় হাজার আনছার সদস্য, ২০ প্লাটুন করে বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা মাঠে দায়িত্ব পালন করেন। ২০ ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন দায়িত্বে।
এরআগে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জাসদের প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ডা. ইউনুস আলী সরকার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভাতগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। ঢাকার মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে এনেসথিওলজিল্ট হিসেবে খ-কালীন কর্মরত। সাদুল্যাপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতিও তিনি।
Leave a reply