রাজধানীতে নিখোঁজের চারদিন পর পাওয়া গেছে শিশু হৃদয়ের বস্তাবন্দী লাশ। এ ঘটনায় জড়িত খুনি ইয়াসিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, মাত্র দেড় হাজার টাকার জন্য শিশু হৃদয়কে হত্যা করেছে এ পাষণ্ড!
পুলিশের কাছে ইয়াসিন স্বীকার করেছে, হৃদয়ের বাবা রমজানের কাছে দেড় হাজার টাকা পাওনা ছিল সে। টাকা না পাওয়াতেই হৃদয়কে জিম্মি করে পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
লাশ উদ্ধারের পর কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তান হত্যার বিচার চান শিশু হৃদয়ের মা সোমা।
গত ২৬ তারিখ (শনিবার) লালবাগ বালুমাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় জগৎমহন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র হৃদয়। এ বিষয়ে থানায় একটি ডায়েরি করে তার বাবা। এরপর অ্যাকশনে নামে পুলিশ। এই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা দেখতে পায় নিখোঁজের দিন হৃদয়কে তার বাবার বন্ধু ইয়াসিন কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন হৃদয়কে হত্যার কথা স্বীকার করে। চারদিন পর কামরাঙ্গীর চরের আলিনগরে একটি বাড়ির সামনে বস্তাবন্দি অবস্থায় হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
খুনি ইয়াসিন ব্যবসায়িক সম্পর্কে হৃদয়ের বাবা রমজানের পারিবারিক বন্ধু হয়ে ওঠে। যদিও খুন করেও গেল চারদিন হৃদয়ের লাশ নিজের খাটের নিচে রেখে হৃদয়ের বাবা-মায়ের সাথে থানায় জিডিসহ মাইকিং করে হৃদয়কে খোঁজার মিথ্যে নাটক করে যাচ্ছিল ইয়াসিন।
হত্যার ঘটনায় হৃদয়ের বাবা রমজান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এই খুনের ঘটনায় অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যমুনা অনলাইন: আরএম/টিএফ
Leave a reply