তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে। প্রথম দুদিন ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দুদিনের নেতৃত্ব দেবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসন্ন ইজতেমা আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাদপন্থীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।
জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পূর্বঘোষিত তিন দিনের ইজতেমা চারদিন করা হয়। কিন্তু আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে কেউ ছাড় দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে সরকারও কোন হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপর সিদ্ধান্ত হয় ইজতেমার প্রথম দু’দিন নেতৃত্ব দেবেন সা’দ বিরোধী পক্ষের নেতা মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দু’দিনের নেতৃত্ব দেবেন সাদপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।
সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে চারদিন ইজতেমার বয়ান শুনে উপস্থিত তাবলিগের মুরব্বিরা আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তাবলিগের দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করেন।
এদিন মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর দুই পর্বে ভাগ করে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের জন্য ইজতেমার ব্যবস্থা করা হলেও এবার এক পর্বেই এ সম্মিলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনোভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেয়া যাবে না। গতবছরও গোলযোগ রাস্তায় এসে গিয়েছিল। আমরা এটা সফলভাবে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
‘এবার দূরত্বটা অনেক বেশি, আরও শক্ত হয়েছে। শক্ত কারণগুলোর জট খুলতে আমাদের একটু শক্ত হতে হয়েছে। দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসাতে সক্ষম হয়েছি, যাতে এক জায়গায় করতে পারি। এ জন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।’
সেদিন তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নেই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ-জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।
প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেন, আজকে সবাই একমত যে, ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একত্রে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তবে কিছু কিছু কথা আছে সে কারণে আবারও একসঙ্গে বসতে হবে।
Leave a reply