গরু নিয়ে এত দিন ভারতের ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি ও আরএসএস কর্মীরা সরব থাকলেও এবার গরুর গুরুত্ব বোঝাতে স্বয়ং এগিয়ে এলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে গোরু কীভাবে জড়িয়ে আছে আজ বৃন্দাবনে এক অনুষ্ঠানে কিশোর শিক্ষার্থীদের সেটাই বুঝিয়েছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে এক অনুষ্ঠানে যান মোদী। অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন নামে এক সংগঠনের তরফে এদিন প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র স্কুল ছাত্রছাত্রীদের খেতে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কৃষ্ণের শহর বৃন্দাবনে গিয়ে সাবেক এই আরএসএস কর্মী বলেন, ‘আমরা গরুর দুধের ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না। গরু ভারতের সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
গ্রামের অর্থনীতিতে গৃহপালিত প্রাণিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক বাজেটে মোদি সরকার ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন’ ও ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু যোজনা’র মত স্কিম এনেছেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল রাম নায়েক ও সাংসদ হেমা মালিনী।
এবারের বাজেটে গরু সেবার জন্য বিশেষ স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব গরুদের কথা ভেবে তৈরি হচ্ছে, ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ।’ পীযূষ গোয়েল বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে দুগ্ধজাত পন্য উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তিনি আরও বলেন, গোমাতাদের সম্মানের ক্ষেত্রে সরকার কখনই পিছু হটবে না।
এই স্কিমে যেসব কৃষকেরা গবাদিপশু পালন করে তাদের ২ শতাংশ অনুদান দেয়া হবে। এছাড়া যারা সময়ের মধ্যে ঋণ দিয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ অনুদান দেয়া হবে। একই সঙ্গে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফিশারির জন্য আলাদা দফতর তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া ২ হেক্টরের কম জমির মালিকদের বছরে ৬ হাজার টাকা দেয়া হবে৷ বছরে তিনটি কিস্তিতে এই টাকা কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরাসরি দিয়ে দেওয়া হবে৷ জোর গলায় পীযূষ গোয়েল দাবি করেন, কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করা হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Leave a reply