ঋণ খেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের তালিকা করে, তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ঋণ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও অর্থ উদ্ধারে কেন কমিশন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আদালত বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এরইমধ্যে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি খুব দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
ব্যাংকিং খাতে গত ১০ বছরে বেড়েছে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ। বিতরণ করা মোট ঋণের সাড়ে ১১ শতাংশই এখন মন্দ। খেলাপি ঋণের কারণে বছরে ক্ষতি হচ্ছে, জিডিপি’র অন্তত ১ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বরে সংসদে শীর্ষ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করেন তখনকার অর্থমন্ত্রী। জানানো হয়, মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ খেলাপির কাছে, আটকে আছে এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসব বিষয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ২০ বছরের ব্যাংকের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তালিকার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালত বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এরইমধ্যে একটি নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি খুব দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আত্মসাতের অর্থ দেশ বা বিদেশে, যেখানেই থাকুক না কেন, তা ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলেছেন আদালত।
Leave a reply