জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ অন্তত ৬ রাউন্ড গুলিবিনিময় করেছে। এতে প্রক্টরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া জুনিয়রদের হাতে রাজিব লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষ চলাকালে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বুকে ইটের আঘাত পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ছাড়া অর্থনীতি বিভাগের মোস্তফা, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাজ্জাদ ও আইআইটি বিভাগের বাহার আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই বর্তমান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী।
এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজিব বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চঞ্চলকে তার হলের সামনে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর চঞ্চলের অনুসারীরা রাজিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এর রেশ ধরেই এ সংঘর্ষ হয় বলে ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে।
আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, রাজিব আহমেদ রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসলে আমি তার সঙ্গে দেখা করি। এ সময় সে আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি তাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলি। এ সময় আমাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
এদিকে বিষয়টি উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের সামনের রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ প্রশাসনিক অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত হন। এ বিষয়ে রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, চঞ্চলের অনুসারীরা আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এ বিষয়টি আমার অনুসারীরা শুনে তারাও পাল্টা তাদের ধাওয়া দেয়।
প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সারা রাত ক্যাম্পাসে থাকবে। আমরা অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো রেড দেয়ার কথা ভাবছি।’
Leave a reply