আবারও টপ অর্ডাররা ব্যর্থ হলেও মোহাম্মদ মিথুনের টানা ২য় হাফ-সেঞ্চুরি আর সাব্বির রহমানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২য় একদিনের ম্যাচে লড়াই করার মতো পুজি পেয়েছে বাংলাদেশ। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে কিউইদের শেষ পর্যন্ত ২২৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। এছাড়া ৪৩ রান করেন সাব্বির রহমান।
টস জিতে বাংলাদেশ দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তারপরও ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার লিটন দাসের উইকেট। আগের ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়া লিটন এদিনও ফেরেন ১ রানে।
এরপর বৃষ্টির বাগড়া, মিনিট দশেক পর খেলা আবার শুরু হয়। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন দেশসেরা ওপেনার তামিম। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
১৬ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে খেলায় ফেরাতে চাপ এড়িয়ে স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। বল টু বল রান করে যাওয়া সৌম্য সরকার ওয়াইড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। তার আগে ২৩ বলে ২২ রান করেন সৌম্য।
দুইবার লাইফ পেয়েও ৩৬ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি মুশফিক। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৯৩ রানে ৫ উইকেট পতনের পর হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই টড অ্যাস্টলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন। চলতি ওয়ানডে সিরিজে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি করেন মিঠুন।
ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ৬৯ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৭ রান করে বোল্ড হন মিঠুন। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯০ বলে করেন ৬২ রান।
শেষ দিকে একমাত্র ভরসা ছিল সাব্বির রহমান। শুরু থেকে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ফার্গুনসনের বলে জেমস নিসামের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির। তার আগে ৬৫ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করেন।
সাব্বিরের বিদায়ের পর ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। ২২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ও ভারে ২২৬/১০ (মিঠুন ৫৭, সাব্বির ৪৩, মুশফিক ২৪, সৌম্য ২২, মিরাজ ১৬, মাশরাফি ১৩, সাইফউদ্দিন ১০; ফার্গুনসন ৩/৪৩)।
Leave a reply