হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বুয়েটে ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ

|

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে শুক্রবার উভয় পক্ষে সংঘর্ষ ও হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বুয়েটের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ ৮ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করে আসছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাজ বর্জনের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

নিজেদের দাবির বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদেরকে তাদের লিখিত বিবৃতি সরবরাহ করেছেন। তাতে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, গত তিন দিনেও গণমাধ্যমে ঘটনার সঠিক চিত্র আসেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন ওভারব্রিজ থেকে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বলেন। এদের মধ্যে বুয়েট কর্মচারি কোয়ার্টারের কয়েকজনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় একই দিন বিকালে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, একই ঘটনার জেরে পর দিন শুক্রবার আবারও পলাশী এলাকায় অবস্থান করা কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের কিছু শিক্ষার্থী।

বুয়েট মার্কেটের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার রাতে বেশ কিছু যুবক লাঠিসোটা নিয়ে কয়েকজন ছাত্রকে বেদড়ক পেটাচ্ছেন। তবে হামলাকারীদের কারো পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় অস্বীকার করেছেন জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, বুয়েটের ছাত্ররাই লাঠিসোটা নিয়ে সজ্জিত ছিলেন। বুয়েটের ছাত্ররা বুয়েটেরই এক বান্ধবীকে ক্যাম্পাসে এগিয়ে দিতে যাওয়া ঢাবির এক ছাত্রকে মারধর এবং ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলেও দাবি করেন আসিফ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply