আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। ২০০৯ সালের এদিন দাবি আদায়ের নামে পিলখানা সদর দপ্তরে একদল উশৃঙ্খল বিডিআর সদস্য নির্বিচারে হত্যা করে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে।
সেদিন পিলখানা ও আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছিলো মেশিনগানের গুলিতে। বিডিআরের কিছু উশৃঙ্খল সদস্য নিয়ন্ত্রণ নেয় পিলখানা সদর দপ্তরের। নিয়মিত দরবার অনুষ্ঠানে বহু সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে মেতে উঠে রক্তের হোলি খেলায়।
কোনভাবেই যখন তাদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছিলো না তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শান্তির ডাক দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন এমপি। সাদা পতাকা নিয়ে ঢুকে যান পিলখানায়। তাদের মধ্যে থাকা তরুণ সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি’র মতে, সেদিন নিশ্চিত এক গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলো দেশ।
পিলখানায় যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন তারা। বিষয়টিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সদর দপ্তরে ঢোকার পর পরই যুদ্ধক্ষেত্র মনে হয়েছিলো শান্তির বার্তা নিয়ে যাওয়া দলটির কাছে। যেন বিধ্বস্ত এক জনপদ। তখনও কারও ভাবনায় ছিলো না কতোটা ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
শুরুতেই জওয়ানদের অস্ত্র রেখে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়। আশাতীত সাড়াও মেলে। শুরু হয় আলোচনা। একইসাথে জিম্মিদের মুক্ত করা হয়।
Leave a reply