চকবাজারের চুড়িহাট্টায় দগ্ধ আরও দুজন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এরা হলেন সোহাগ মিয়া ও রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন।
সোমবার রাতে প্রথমে মারা যান রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার রায়নগর গ্রামে। কামরাঙ্গীর চরের ছাপড়া মসজিদের পূর্বপাশে স্ত্রী হাজেরা বেগম এবং তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন আনোয়ার। একমাত্র মেয়ে বীথির আবদারে তার জন্য বিরিয়ানী কিনতে সেদিন চকবাজারে গিয়ে আগুনের মধ্যে পড়েছিলেন আনোয়ার।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আরও আটজনের সঙ্গে ভর্তি করা হয়েছিল আনোয়ারকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ৫৫ বছর বয়সী আনোয়ারের দেহের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারের মৃত্যু ঘটে।
এরপর রাত পৌঁনে ২টার দিকে মারা যান সোহাগ মিয়া। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৯ জনে। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ যে কজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তার মধ্যে এই প্রথম কারও মৃত্যু হল।
আগুনের ক্ষত নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা সাতজনের মধ্যে আইসিইউতে থাকা রেজাউলের (২১) শরীরের ৫১ শতাংশ, জাকিরের (৩৫) শরীরের ৩৫ শতাংশ, মোজাফফরের (৩২) শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে। ওয়ার্ডে থাকা হেলালের (১৮) শরীরের ১৬ শতাংশ, সেলিমের (৪৪) শরীরের ১৪ শতাংশ, মাহমুদুলের (৫২) শরীরের ১৩ শতাংশ এবং সালাহউদ্দিনের (৪৫) শরীরের ১০ শতাংশ পুড়েছে।
Leave a reply