Site icon Jamuna Television

পানি বিক্রয়কারী ৩ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ৭ লাইসেন্স স্থগিত

বাজারে থাকা অনুমোদিত ১০টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি নিম্নমানের হওয়ায় সাতটির লাইসেন্স স্থগিত এবং তিনটির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- আনন্দ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড (জার), বেস্টওয়ান ড্রিংকিংয়ের বেস্ট ওয়ান।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড (জার), সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ ব্র্যান্ড (ছোট বোতল), এএসটি বেভারেজ লিমিটেডেরে ‘আলমা’ ব্র্যান্ডের (ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার), ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার্স এর ‘ইয়াম্মী ইয়াম্মী’ ব্র্যান্ড (পেট বোতল)।

বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খাঁন রবিন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ)।

প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার শুনানিতে আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে বলেন, পানি নিয়ে তারা কী কী কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তা আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জানাতে হবে।

এদিকে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ৬৯টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে ৩ হাজার ৩৫৭৫টি অবৈধ পানির জার/জব্দ, ৬৫ টি নিয়মিত মামলা করা হয়।

‘পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে ২৮টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টির প্রতিবেদনের মধ্যে ১২টি মানসম্মত এবং ১০টি নিম্নমানের। এ ১০টিকে শোকজের পর ৩টি কোম্পানি জবাব দেয়নি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৭টি শোকজের জবাব দিয়ে মান উন্নয়নের জন্য সময় চেয়েছে। এ কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় ৩৬ কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।’

আইনজীবী মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ জানান, আজকে এ মামলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পক্ষভুক্ত হয়েছে। এরপর আদালত পানি নিয়ে তাদের কার্যক্রম জানতে চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশাত হয়। এরপর ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে একই বছরের ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।

Exit mobile version