গণহত্যা-ধর্ষণ-লুঠতরাজ চালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা মিয়ানমার এখন বড় গলায় নতুন মিথ্যাচার শুরু করছে। সু চি সরকারের দাবি, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত, বরং বাংলাদেশই এ নিয়ে গড়িমসি করছে। বিদেশি সহায়তার লোভেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে কাল ক্ষেপণ করছে বলেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ ইঙ্গিত করেছে নেইপিদো।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমারে’ প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে এ সংবাদ। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র মুখপাত্র উ জও তে দাবি করেন, ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণা অনুসারে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত রয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশ এসব শর্ত না মেনে দেরি করছে। তিনি ইঙ্গিত করেন, বাংলাদেশ হয়তো রোহিঙ্গাদের দেখিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরো সহযোগিতা আদায় করতে চায়। জও তে বলেন, এরিমধ্যে বাংলাদেশ ৪০ কোটি ডলার সহায়তা পেয়েছে। বিশাল শরণার্থী শিবির তৈরির জন্য আরো অঢেল অর্থ আসবে। সম্ভবত বিশাল অংকের এই অর্থযোগের আশাতেই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ঢিল দিচ্ছে বাংলাদেশ।
যেসব রোহিঙ্গা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে পারবে তাদেরকেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মিয়ানমার। সু চির মুখপাত্র দাবি করেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তালিকার অপেক্ষায় আছেন তারা।
২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে অভিযানের নামে তাণ্ডবলীলা শুরু করে সেনাবাহিনী। ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ সময়ে ধারণা করা হয় প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে এবং ২৮৪টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a reply