ভারতের উগ্রপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দেয়ায় ভারতজুড়ে যখন প্রশংসিত হচ্ছেন পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তখন উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর কর্মীরা সক্রিয় হয়েছেন ভিন্নভাবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করায় অপদস্থ ও হয়রানি করছেন বিভিন্নজনকে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইমরানের প্রশংসা করে ফেসবুকে পোস্ট করায় ভারতের আসাম রাজ্যে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গতকাল প্রথমে ডিউটি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই কনস্টেবলের নাম রফিকুল ইসলাম খান।
আসামের মরিগাও জেলার এসপি স্বপ্নীল দেকা বলেছেন, একটি সুশৃংখল বাহিনীর সদস্য হয়েও সে বিশৃংখল আচরণ করেছে রফিকুল। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার আচরণের কারণে ধর্মীয় উত্তেজনা দেখা দেয়ার শংকা আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কর্নাটকে কলেজের এক অধ্যাপককে জনসম্মুখে হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছে বিজেপির সন্ত্রাসীরা। ইন্ডিয়া টিভি জানিয়েছে, ইমরান খানের প্রশংস করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন কর্নাটক কলেজের অধ্যাপক সন্দীপ ওথার। তার পোস্টে একইসাথে বিজেপি সরকারের যুদ্ধংদেহী মোনভাবের নিন্দা জানান।
এর জেরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবিভিপির সদস্যরা তাকে শারিরীকভাবে হয়রানি করে এবং ধরে নিয়ে জনসম্মুখে হাঁটুগেড়ে বসে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। এছাড়া তাকে কলেজ থেকে পদত্যাগের জন্যও চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
Leave a reply