একদিনে সরকারি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক কর্মচারী। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, আরপিজিসিএল’র জনতা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে তিনটি পে-অর্ডারের মাধ্যেমে গতবছরের ৯ ডিসেম্বর এই টাকা গায়েব করা হয়। তবে এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করা হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
আরপিজিসিএল’র জানায়, কর্মকর্তাদের স্ক্যান সই দিয়ে জালিয়াতি করে এই কাজ করা হয়। ব্যাংকের দাবি,’অথরাইজড লেটার’ বা সম্মতিপত্র দেখেই টাকা স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় যথারীতি তদন্ত কমিটি করেছে জ্বালানি বিভাগ ও জনতা ব্যাংক।
জানা যায়, ৯ ডিসেম্বরে ত্রিশ লাখ টাকার তিনটি পে অর্ডার হস্তান্তরের জন্য আলাদা সম্মতিপত্র আসে ব্যাংকে। তাতে সই ছিল অর্থ আর প্রশাসন বিভাগের জিএম-এর। সেই চেক নিয়ে আসেন কোম্পানির কর্মচারী আশরাফ। কোন রকম টেলিফোন না করেই নব্বই লাখ টাকা একদিনে ছাড় করে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের দাবি, সই সঠিক আর অথরাইজড লেটার দেখেই কাজ করেছেন তারা। লারসেন কর্পোরেশন, এ এইচ কে ইন্টারন্যাশনাল আর ইনফোসিস টেকনোলজি- তিন প্রতিষ্ঠানের নামে সেই টাকা পাঠায় জনতা ব্যাংক।
এদিকে এত বড় ঘটনা মন্ত্রণালয় বা পুলিশকে প্রায় আড়াই মাস ধরে জানায়নি রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি। অবশেষে ২১শে ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের ও মন্ত্রণায়লকে বিষয়টি জানায় তারা। গঠন হয় তদন্ত কমিটি।
এটাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আন্তরিকতা থাকলে দায়ীদের বের করা সম্ভব। অপরাধে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে, টাকা বেহাতের মত অপরাধ বাড়তে পারে বলে আশংকা বিশ্লেষকদের।
Leave a reply