আবারও অঘটনের শিকার স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। বিগম্যাচে গ্যালাক্টিকোদের ৩-১ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম। রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। সার্জিও আগুয়েরোর রেকর্ডের রাতে ন্যাপোলিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দিয়েছিল টটেনহ্যাম। ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে ফিরতি লেগে তাই আরও উজ্জিবিত স্পার্সরা। ২৭ মিনিটে ডেলে আলীর গোলে লিড নেয় টটেনহ্যাম। ৫৬ মিনিটে এই ইংলিশ ফুটবলারই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮ বছর পর কোন ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে রিয়ালের জালে ২ বার বল পাঠান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। এরপর আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে, উল্টো আরেক গোল হজম করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৮০ মিনিটে রিয়ালের হয়ে একটি গোল অবশ্য শোধ করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ২’এ জিদান শীষ্যদের অপেক্ষা পরের ২ ম্যাচের জন্য।
রিয়ালের হারের এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠে অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছে জার্মান ক্লাবটি। ২৯ মিনিটে রাফায়েল এর গোলে ইয়েলোসরা এগিয়ে গেলেও সাইপ্রাসের ক্লাবটির হয়ে সমতা ফেরান মাইকেল পতে। এই ড্রয়ের ফলে দু’দলেরই পয়েন্ট ২।
ইতালির সান পাওলোতে ছিলো আরেক বিগম্যাচ। ইংলিশ লিগের শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথ্য দেয় সিরি আ টেবিল টপার ন্যাপোলি। ২১ মিনিটে প্রথম লিড নেয় স্বাগতিকরা। গোল করেন লরেন্সো ইনসিনিয়ে। ১৩ মিনিট পরই নিকোলাস ওটামেন্ডি’র গোলে সমতায় ফেরে ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর ৪৮ মিনিটে জন স্টোনসের গোলে লিড নেয় সিটিজেনরা। তবে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন নাপোলির জর্জিনহো। ৬৯ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরো ও ৯২ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে জয়রথ ধরে রাখে ম্যান সিটি। এই ম্যাচে গোল করেই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়েছেন আগুয়েরো। ৪ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে গার্দিওলা শিষ্যরা।
এদিকে, ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে দূর্বল মারিবরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। ৪৯ মিনিটে প্রথম গোল করেন মিশরিয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। ৬৪ মিনিটে এমরি কেন আর ৯০ মিনিটে ম্যাচ ভাগ্য নির্ধারনী গোলটি করেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অলরেডরা।
Leave a reply