বগুড়া ব্যুরো:
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন গত সংসদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বুধবার রাতে বগুড়া সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে বিকেলে আলমকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করেছেন- এমন অভিযোগ নিয়ে রাতে থানায় গেলে উল্টো স্ত্রীর মামলায় নিজেই গ্রেফতার হন আলম।
বগুড়ার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. বদিউজ্জামান যমুনা নিউজকে জানান, হিরো আলম গত মঙ্গলবার এরুলিয়া এলাকায় তার বাসায় স্ত্রী সাবিহা আকতার সুমির কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে আলম সুমিকে বেধড়ক মারপিট করেন। এসব অভিযোগ নিয়ে বুধবার সুমির বাবা সাইফুল ইসলাম থানায় আসেন। পরে তিনি তার জামাতা আলমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০৩’র ১১’র (গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক রহিম উদ্দিন জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই হিরো আলমকে খুঁজছিলো পুলিশ। সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হিরো আলম নিজেই থানায় আসেন এবং স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করেছে এমন অভিযোগ করেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে তার শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আলমকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেফতারের আগে যমুনা নিউজের সঙ্গে থানায় বসে কথা বলেছিলেন হিরো আলম। তার অভিযোগ, শুটিংয়ের কাজে তিনি প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকেন। এই সুযোগে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি বিষয়টি তিনি জানার পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এর জেরে মীমাংসার নামে মঙ্গলবার তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে বেদম মারপিট করে। স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করেন নি বলেও দাবি করেন তিনি।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া এলাকার ক্যাবল-সংযোগ ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম কয়েক বছর আগে বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের মাধ্যমে ইউটিউবে ‘হিরো আলম’ নামে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এরপর গত সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে সারাদেশে আলোচনায় আসেন এই তরুণ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনে ৬৩৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান হিরো আলম।
যমুনা অনলাইন: আরএম/এমএস
Leave a reply