জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির শুনানি শেষ হয়েছে। বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতের বিশেষ জজ পাঁচ-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে জামিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৯ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। এসময় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়া বলেন, রাজনীতি থেকে সরাতে ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে ক্ষমতাসীনরা একটি নীল নকশা প্রণয়ন করেছে। কারও নির্দেশে তড়ঘড়ি করে আমার বিরুদ্ধে মামলার রায় দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, কেন তাড়াহুড়ো? এতে করে কি ন্যায় বিচার হবে?।
বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে তার বক্তব্যে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ শাসক দলের নেতারা আমাকে দোষী সাবস্ত্য করে বক্তব্য দিচ্ছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে, মামলায় রায় কি হবে তারা আগাম জানে বা আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন তারা। বারবার ন্যায় বিচারের কথা বলছি কারণ দেশবাসী সন্দেহ করে ন্যায় বিচার হবে না, আমরাও শঙ্কায় আছি। আমরা ক্ষমতায় থাকলে অন্য কারও বিরুদ্ধে এমন মামলা চলতে দিতাম না, তবুও আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। কত মামলা ঝুলে আছে আর আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো রকেটের গতিতে চলছে।
শেখ হাসিনা কোন যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় তার বিরুদ্ধে করা সকল মামলা খারিজ হয়ে গেল, আমাদের হাতে যাদুর কাঠি নেই তাই আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো সচল হয়েছে, হয়েছে নতুন মামলা।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, মাত্র সাত দিনের জামিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক যে অবস্থা তাতে আদালতে হাজির হওয়াটা কষ্টকর। এজন্য জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান তারা। তবে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধীতা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
টিবিজেড
Leave a reply