ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরোধী মতের কোন শিক্ষককে যুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিলো এ নির্বাচনকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার স্বার্থে নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন কমিটিতে ভিন্ন মতের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব রাখা হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা করেন নি। বস্তুত গত এক দশক ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে একদলীয় শাসন। এবার ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ১৮টি হলের প্রশাসনে প্রশাসন সমর্থক শিক্ষক ছাড়া ভিন্নমতের একজন প্রভোস্ট ও হাউজটিউটর নেই। ফলে নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত নির্বাচন কমিশনে বিরোধী মতের শিক্ষক নেই।
সাদা দলের আহ্বায়ক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষতা নিয়েও বিরোধী প্রার্থী ও সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্তৃপক্ষ ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচনী আচরণবিধি তৈরি করে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বিরোধী ছাত্র সংগঠনসমূহের সাথে আলোচনা করলেও গঠনতন্ত্র সংশোধন বা আচরণবিধিতে তাদের কোনো দাবি ও মতামতের প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে তারা দাবি করেছেন। হলে হলে শিক্ষার্থীদের সহাবস্থান নেই বলেও জানান তিনি।
সকল ভয়-ভীতি ও চাপ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, ডাকসু নির্বাচন দেশের বিপন্ন নির্বাচন পদ্ধতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারো ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সাদা দলের প্রচার সচিব অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন্, ডাকসু নির্বাচনে অতীতে স্টিলের ব্যালট বক্স ব্যবহার করা হতো। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, এবার যাতে স্বচ্ছ বক্স ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সে দাবি মানা হয়নি।
যমুনা অনলাইন: এফএম
Leave a reply