রাতে পোহালেই ডাকসু নির্বাচন। ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে অবসান হতে যাচ্ছে প্রায় ২৯ বছর ধরে চলা অচল অবস্থার।
ক্যাম্পাসে গত ১০ বছর ধরে এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগ। বাম ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও তাদের প্রভাব অনেক কম। আর ৯ বছর পর এক মাস আগে ক্যাম্পাসে আসে ছাত্রদল। এরা সবাই নির্বাচনে আলাদা প্যানেল দিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্রভাবে প্যানেল দিয়েছে অনেকেই। কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে উঠা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও আলাদা প্যানেল দিয়েছে।
গত ১ সপ্তাহ প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। সকলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার। কিন্তু জয়-পরাজয়ের নানা হিসাব কষছেন প্রার্থী ও ভোটারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্বাচনে কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, প্রশ্নফাঁস বিরোধী আন্দোলন, পাঁচটি ছাত্রী হলের ভোটার, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটার, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্লিন ইমেজ, গত দশ বছরে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নিষ্ক্রিয়তা জয়-পরাজয়ে ব্যবধান গড়ে দেবে।
ডাকসু ও হল সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২৬ হাজার ৭৭২ এবং ছাত্রী ভোটার ১৬ হাজার ১৪৫। ছাত্রীদের পাঁচটি হলে এসব ভোটার পাল্টে দিতে পারে ভোটের ফলাফল।
হলভিত্তিক পাঁচটি হলের ভোটার সংখ্যা হচ্ছে- রোকেয়া হলে ৪ হাজার ৫৩০, শামসুন্নাহার হলে ৩ হাজার ৭৩৭, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৭১০, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ১ হাজার ৯২০ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২ হাজার ২৪৮টি ভোট।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী অনাবাসিক। তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে থাকেন। এদের ভোট গড়ে দিতে পারে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান।
এছাড়া, ১৮টি আবাসিক হলে ৮১টি গণরুম রয়েছে। এসব গণরুমে আড়াই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে থাকে। এছাড়া, যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্রসংগঠনই গণরুমের শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে। ডাকসু নির্বাচনে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরা জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
যমুনা অনলাইন: এফএম
Leave a reply