ডাকসু’র ভোট গ্রহণে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ব্যাপক অনিয়ম এবং এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে চারটি প্যানেল। এসময় কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়া তারা।আজ সোমবার দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় নেতারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাম সংগঠনগুলোর জোট, কোটা আন্দোলনকারীদের বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের প্রার্থী ও নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ভিসি কার্যালয়ের দিকে যায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাম জোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সকালে ভোট শুরুর আগে কুয়েক মৈত্রী হলে বস্তা ভর্তি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন হলে জাল ব্যালট উদ্ধারের অভিযোগ করেন তিনি।
নন্দী জানান, রোকেয়া হলে ১ ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগের ভিপি-জিএস প্রার্থীদের উপস্থিতিতে কোটা সংস্কারপন্থী প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুর, স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী অরণি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদের প্রার্থী দিপ্তীকে মারধর করা হয়।
বিভিন্ন হলে ভোট দিতে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন লিটন নন্দী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ গেটে দাঁড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুথে ঢুকতে দেয়নি। শহীদুলল্লাহ হলের গেট বন্ধ করে রাখে ছাত্রলীগ- এমন অভিযোগও করেন তিনি। জানান, সেখানে ভোট শুরুর পর প্রথম ২ ঘণ্টা পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে পারেনি।
Leave a reply