সিলেটের গোয়াইনঘাটে কিশোরকে বর্বর কায়দায় নির্যাতনকারী প্রবীণ ইসবর আলীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ যমুনা টেলিভিশনে কিশোর সোহেল আহমদকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্রসহ সংবাদ পরিবেশনের পর পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গরু চুরির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারাই অভিযোগকারীর ছেলেকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে বর্বর কায়দায় পিটিয়েছে! আবার পেটানো শেষে মাদক আইনে মামলা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর পুলিশও সে অনুযায়ী নির্যাতনের শিকার কিশোরকে আটক করে পাঠিয়েছে কারাগারে।
গত ২৯ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার সোহেল আহমেদের বাড়ি উপজেলার মানাউরা পূর্ব পাড়া গ্রামে। বর্তমানে কারাগারেই দিন কাটাতে হচ্ছে নির্যাতিত এই কিশোরকে।
নির্যাতনকারীরা সোহেলকে মারধরের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয় ইন্টারনেটে। এরকম একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সোহেলকে গাছের সাথে বেঁধে পেটাচ্ছেন গ্রামের প্রবীণ ইসবর আলী। মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে ছেলেটি। পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছেন বেশ কিছু মানুষ। তাদের মধ্যে ছোট শিশুদেরকেও দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে।
সোহেলের মায়ের দাবি, গত ১১ মে তাদের একটি গরু চুরি হলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যাদের বিরুদ্ধে গরুর চুরি অভিযোগ তারাই তার ছেলেকে ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেছে। এরপর ‘চোর পেটানো হয়েছে’ বলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে।
Leave a reply