বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহতের খবর দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেই সাথে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ৯টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৭টি এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩টি লাশ থাকার কথা জানানো হয়।
কুর্মিটোলায় হাসপাতালে থাকা ৭টি লাশের একটি শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস ভিগ্নেরাজার। ২৮ বছর বয়সী নিরস স্ক্যানওয়ে লজিস্টিক লিমিটেড নামে একটি কার্গো পরিবহন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
নাহিদুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা নামে আরও দুজনের লাশ শনাক্ত হয়েছে কুর্মিটোলায়। নাহিদ ওই ভবনে থাকা হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের সেলস এসিস্টেন্ট ম্যানেজার ছিলেন। জেবুন্নেসাও চাকরি করতেন একই প্রতিষ্ঠানে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের একাউন্ট ম্যানেজারের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে ভবনটি থেকে। সালাউদ্দিন নামে একজনের লাশ ছিল কুর্মিটোলায়। তার বাসা ঢাকার মগবাজারে।
আসিফ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম রাজুর লাশও যায় কুর্মিটোলায়। তার বাড়ি বাড়ি চাঁদপুর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা সাতটি লাশের মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ফজলে রাব্বি (২৭)। তিনি ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডে কাজ করতেন। এছাড়া আনজির আবির (২৪) নামে আরেকজনের লাশও রয়েছে মর্গে। তার বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয় ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ছিলেন আবদুল্লাহ আল-ফারুককে। ৩২ বছর বয়সী ফারুকের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
জরুরি বিভাগে রুমকি আক্তার (৩০) নামে এক নারীর লাশও শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের কর্মী রুমকির স্বামী মাকসুদুর রহমানের লাশ ইউনাইটেড হাসপাতালে শনাক্ত করেন তার খালাত ভাই ইমতিয়াজ। মাকসুদ ও রুমকি পুরান ঢাকার ফরিদাবাদে থাকতেন। রুমকির বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়।
Leave a reply