ভারতীয় সেনাদের জন্য সরবরাহ করা খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিপাকে পড়েছিলেন বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব। সেটা ছিল ২০১৭-র জানুয়ারি মাসের ঘটনা। ফের খবরের শিরোনামে তেজ বাহাদুর। কারণ, তিনি এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থিতা করছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বেছে নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই।
বাহিনীতে যে খাবার দেওয়া হয় তার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তেজ বাহাদুর। আর তার জেরেই বিপাকে পড়তে হয় তাকে। তার অভিযোগ নিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ স্বার্থে তাকে বদলি করার পাশাপাশি বিএসএফের একটি বিবৃতিতে তার আচরণ নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ঊর্ধ্বতন অফিসারের দিকে বন্দুক তাক করার অপরাধে ২০১০ সালে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করা হয়েছিল। তার পর তেজ বাহাদুরের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও তেজের অভিযোগ নিয়ে বিএসএফ-এর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিলেন ।
এর পর বিএসএফের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে এনে তেজ বাহাদুরকে বরখাস্ত করে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত চালিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তেজ বাহাদুর জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে তাকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তিনি সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে না-গিয়ে তিনি নির্দলীয় হিসাবেই বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, এভাবে একজন হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে জামানত জব্দও তো হতে পারে?
জবাবে তেজ বাহাদুর বলেন, “মোদি জওয়ানদের নাম করে ভোট চাইছেন। কিন্তু তাদের জন্য তিনি কিছুই করেননি”।
সীমান্তে পাহারারত জওয়ানদের কী সঙ্গিন অবস্থা, সে ব্যাপারে তেজ বাহাদুরের করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভিডিওয় তেজ বাহাদুর বলেছিলেন, তাদের যে খাবার দেয়া হয় সেটা অত্যন্ত নিম্নমানের।
Leave a reply