গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৩৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এ উপজেলায় তিনটি পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান (নৌকা), স্বতন্ত্র মুকিতুর রহমান রাফি (ঘোড়া), স্বতন্ত্র জাহিদ চৌধুরী (আনারস), ওয়ার্কাস পার্টির আবদুল মতিন মোল্লা (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র নাজমুল ইসলাম (মটর সাইকেল) এবং ফেরদৌস আলম রাজু (দোয়াত কলম)।
১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৬ জন ভোটার। ১৩৯টি ভোট কেন্দ্রের ৯৩০টি ভোট কক্ষে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫২১ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খলসী দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সাড়িবদ্ধ লাইন দেখা যায়। ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই নারী-পুরুষরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩২৯৭ জন। সকাল সাড়ে ৮টার পর্যন্ত কেন্দ্রের ৮টি কক্ষে ১২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এরআগে, শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ১৩৯ ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের হাতে ব্যালট পেপার, বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী তুলে দেন।
এদিকে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনছার, গ্রাম পুলিশসহ ১২ থেকে ১৪ জন আইনশৃঙ্খলাবাহীনির সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রসহ পুরো নির্বাচনি এলাকায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনছার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। ভোটের মাঠে স্টাইকিং ফোর্সসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকি ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ১৭ জন পর্যবেক্ষক ভোট কেন্দ্রে তদারকি করবেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে ১৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিবিঘ্নে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত কেন্দ্রেগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত: দ্বিতীয় দফায় গত ১৮ মার্চ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে এক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে প্রার্থীতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। পরে প্রার্থীতা অর্ন্তভুক্তে উচ্চ আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
টিবিজেড/
Leave a reply