মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএর ৬৩তম সম্মেলনের সমাপনী দিনে সাধারণ অধিবেশন শেষে বিবৃত দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এতে সংকট সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি এবং কফি আনান কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে সংকট নিরসনের কথাও বলা হয়েছে। সিপিএ’র বিদায়ী চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মনে করেন, এতে করে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের উপর আরো চাপ তৈরী হবে।
সম্মেলনের শেষ দিন তাই একটু ভিন্ন উদযাপন। আফ্রিকান রীতিতে সাধারণ অধিবেশনে প্রবেশ করেন আফ্রিকার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা। আর তাদের আনন্দের মাত্রা আরো বাড়ে যখন নতুন চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন ক্যামেরুনের ডেপুটি স্পিকার এমিলিয়া মোনজুয়া লিফাকা। দায়িত্ব পেয়ে সিপিএ’র নতুন চেয়ারপারসন জানান, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন তিনি।
পরে অধিবেশনে দারিদ্র বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেল, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে নেয়া সুপারিশ ও প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। আগে থেকে এজেন্ডাভুক্ত না হওয়ায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সাধারণ অধিবেশনে কোন প্রস্তাব পাস হয়নি। তবে সর্বসম্মতি ক্রমে এক্ষেত্রে সিপিএ এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের আগ্রাসনকে গণহত্যা আখ্যায়িত করা হয়। তাগিদ দেয়া হয়, রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেয়া ও কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের।
বিবৃতি অনুযায়ী,রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটেতে জমা হওয়া প্রস্তাবের পক্ষে থাকবে সিপিএ সদস্য দেশগুলো। ভারতের স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে আছে তার দেশ।
কমনওয়েলথ-এর ৫২ দেশের ৫৫০জন প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ১ নভেম্বর শুরু হয়েছিলো সিপিএ সম্মেলন।
Leave a reply