ডেরিক সি লালচনহাইমা। বয়স ৬ বছর। ভারতের মিজোরামের বাসিন্দা। সম্প্রতি একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে নিয়ে সরগরম নেট দুনিয়া। কি এমন কাণ্ড করেছে ডেরিক? আসুন জেনেনি।
প্রতিদিনের মতোই বাড়ির আঙ্গিনায় সাইকেল চালাচ্ছিলো ডেরিক। হঠাৎই তার সাইকেলের সামনে এসে পড়ে প্রতিবেশির মুরগির ছানা। কিন্তু যথাসময়ে সাইকেল থামাতে পারেনি ডেরিক। চাপা দিয়ে দেয় ছানাটিকে।
সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে নিজের জমানো দশ টাকা নিয়ে আসে ডেরিক। একহাতে মুরগির ছানা, অন্যহাতে দশ টাকা নিয়ে দৌড়ে যায় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে ডাক্তারদের কাছে মুরগির ছানাকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অনুরোধ করে।
এক হাতে মুরগিছানা আর এক হাতে ১০ টাকা নিয়ে সে হাসপাতালে ঢুকে একটি নার্সকে সবটা বলে। নার্সের মন ছুঁয়ে যায় ডেরেকের সরলতা। ছবিটা ওই নার্সই তুলেছিলেন। সেটাই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। নার্সের তোলা ওই ছবিটা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ডেরেকের প্রতিবেশী সাংমা। যেটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার বার।
তবে এতেও হাল ছাড়তে নারাজ ডেরেক। কেউই চিকিৎসা করছেন না দেখে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে আসে ডেরেক। তারপর বাবার কাছে আবদার করে একটি ১০০ টাকার নোট নিয়ে ফের হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়। পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ডেরেকের বাবা সত্যিটা বলে দেন। মুরগিছানাটা আর বেঁচে নেই।
মুরগির প্রতি শিশুটির সহানুভূতি এবং অপরাধবোধ নেট নাগরিকদের মন কেড়েছে। প্রতিবেশীর মুরগির বাচ্চাটিকে সাইকেল চাপা দিয়ে অপরাধবোধে অনুতপ্ত শিশুটি।
সেন্ট পিও স্কুল সাইরাংয়ে পড়ে ডেরিক। মুরগির ছানার প্রতি তার সহানুভূতিকে স্বীকৃতি দিতে স্কুল থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ডেরিককে।
Leave a reply