বগুড়া ব্যুরো:
বগুড়া শহরের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসা অবহেলায় ছয় বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে স্বজনরা। সোমবার বিকেলে অপারেশনের জন্য অজ্ঞান করা শিশুটির জ্ঞান ৫ ঘণ্টাতেও না ফেরায় স্বজনরা তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হুমায়রা খাতুন নামের ওই শিশুর মামা আলমগীর হোসেন যমুনা নিউজকে জানান, টনসিলের প্রদাহ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তারা শহরের মালেকা নার্সিং হোমে নাক-কান ও গলা চিকিৎসার সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার সাইদুজ্জামানের পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন শিশুটিকে। তার পরামর্শ মতো সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই চিকিৎসকই হুমায়রার টনসিলে অস্ত্রপচার করেন। অস্ত্রপচারের জন্য শিশু হুমাইরাকে অজ্ঞান করার ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার জ্ঞান না ফেরায়, স্বজনরা ক্লিনিকে কর্তব্যরতদের বিষয়টি জানান।
প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হুমায়রাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। স্বজনরা তাকে রাত ৯টা নাগাদ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসকরা হুমায়রাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলমগীর আরও জানান, হুমায়রার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা এলাকায়। মেয়ের চিকিৎসার জন্যই বেশ কিছুদিন ধরে বগুড়ায় আসা যাওয়া করছিলেন বাবা হারুনুর রশিদ। হুমায়রা স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এই ঘটনার পর হুমায়রার স্বজনরা চিকিৎসা অবেহলার অভিযোগে নার্সিং হোমে বিক্ষোভ করেন। এসময় চিকিৎসক-সেবিকাসহ ওই নার্সিং হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও প্রতিষ্ঠান থেকে সটকে পড়েন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও রাত দেড়টায় এই প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় পর্যন্ত নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে আসেন নি।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক রহিম উদ্দিন জানান, হুমায়রার মামা আলমগীর হোসেন লিখিত অভিযোগ করতে থানায় এসেছেন। সে মাফিক, পুলিশ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।
যমুনা অনলাইন: এমএস/আরএম
Leave a reply