চীনে অন্যরকম ট্রাম্প!

|

সুযোগ পেলেই চীনকে একহাত নিতে ছাড়েন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছু দিন আগে বলেছিলেন, চীন নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে ধর্ষণ করছে! ব্যবসা-বাণিজ্যে চীনের একচেটিয়া অগ্রসরমানতার প্রতি ইঙ্গিত করেই এমনটা বলেছিলেন তিনি। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ করবেন। বেইজিংয়ের বিদেশ নীতি নিয়েও বিভিন্ন সময় কড়া কথা বলে অভ্যস্ত তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তাইওয়ানের নেতার সাথে ফোন কথা বলে চীনের মনোভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।

সেই ট্রাম্প বেইজিং সফরে গিয়ে যেন একেবারে বদলে গেলেন! প্রশংসায় প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ‘জিনপিংয়ের ওপর প্রশংসা ঢেলে দিলেন ট্রাম্প।’

মূলত উত্তর কোরিয়ার ইস্যুতে চীনকে কাছে টানার জন্যেই তার এই বদলে যাওয়া। এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। এতদিন চীনকে দায়ী করে এলেও আজ বৃহস্পতিবার বললেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতির জন্য নাকি বেইজিং দায়ী না। বরং দায়ী করলেন পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনগুলোকে।

গ্রেট হলে বক্তৃতা করতে গিয়ে ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমি সম্প্রতি সফলভাবে শেষ হওয়া ১৯তম কংগ্রেসের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। আপনার প্রতি আমার অনুভূতি অবিশ্বাস্যভাবে উষ্ণ। আপনি অসাধারণ একজন মানুষ।

১২ দিনের সফরে চীনে এসে ট্রাম্প টুইটারে চীন সরকারের দেয়া উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রশংসা করেন এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান। তবে এর আগে সফরে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীন সরকার এরকম ঝমকালো সংববর্ধনা দেয়নি। এমনকি প্রেসিডেন্সির শেষদিকে ওবামার চীন সফরের সময় তাকে দেওয়া হয়নি লাল গালিচা সংবর্ধনা। চীনে টুইটার নিষিদ্ধ থাকলেও ট্রাম্পের টুইট করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন জিনপিং।

এদিকে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিং-এ দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে পিয়ংইয়ং-এর পরমাণূ কর্মসূচি বন্ধে জিনপিং প্রশাসনকে আরও উদ্যেগী হওয়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতুত্তরে চীনের প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দেন- কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ওয়াশিংটনের সাথে কাজ করবে তার সরকার। এর আগে দু’দেশের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

টিবিজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply