রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত ও ভাঙচুরের অভিযোগে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১১ মার্চ সকালে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এ সময় অভিযুক্তরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ান যে, হলের ভেতরে ট্রাংকভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন।
এর একপর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা সেখানে ভাঙচুরও চালান।
ঘটনার দিনই ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর এবং ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।
এ ছাড়া ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
Leave a reply