মুসলিমরা চাইলে ইহুদি আর খ্রিস্টানদের উপাসনালয়ে ইবাদত করতে পারবে। চার্চ-সিনাগগের পাশপাশি শিয়া মসজিদেও নামাজ আদায় করা যাবে। এমন ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় এক মুফতি। কুয়েতি পত্রিকা আল আনবাতে আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান আল মানিয়া এই মতামত উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম হলো সহনশীল ও দয়ার ধর্ম। কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ, বলপ্রয়োগ, অসহিষ্ণুতা এ ধর্মে নেই। মুসলমানদের উচিত সত্যিকারের ইসলামী আচার আচরণের প্রচার করা এবং নবী (স.) অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সহিষ্ণু ছিলেন তা অনুসরণ করা।
চার্চ ও সিনাগগের ইবাদত করা বিষয়ে তিনি যৃুক্তি দেখান, হাদীসে আছে- রাসুল (স.) বলেছেন, আমার জন্য সমগ্র জমিনকে মসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ করে দেয়া হয়েছে। যখন যেখানে নামাজের সময় হবে আমার উম্মতরা যেখানেই নামাজ আদায় করবে। (সুনানে নাসাই, ৭৩৭)।
মুফতি আল মানিয়া বলেন, মুসলমানদের চার্চ ও সিনাগগে যাওয়া উচিত এবং সেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। এসম্পর্কে তিনি ওমর বিন খাত্তাব এর একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, একবার ওমর যখন দ্বিতীয় খলিফা তখন তিনি জেরুজালেমে যান কিন্তু সেখানে খিষ্টানদের পবিত্র চার্চে নামাজ পড়েননি কারণ তিনি চাননি চার্চে গিয়ে মুসলিমরা খ্রিষ্টানদের বিরক্ত না করে, সে জন্য একটু দূরে মসজিদ নির্মাণ করে এবং নামাজ আদায় করেন, যা মসজিদে ওমর নামে পরিচিত, কিন্তু ওমর (রা.) কখনই বলেন নাই চার্চে মুসলিমরা প্রবেশ করতে পারবে না।
মুফতি আল মানিয়া আরও বলেন, একবার রাসুল (স.) এর কাছে নাজরান থেকে খ্রিষ্টান প্রতিনিধিরা আসে। মসজিদের মধ্যে তাদেরকে জেরুজালেমের দিকে মুখ করে ইবাদতের অনুমতি দেয়া হয়। এতেই বুঝা যায় রাসুল (স.) অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি ছিলেন দয়াশীল। ইসলাম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে তার এই অন্যের প্রতি সম্মানসূচক ও ভালো আচরণের জন্য।
মুফতি আল মানিয়া মতামত হলো, মুসলমানদের চার্চে যাওয়া উচিত ও শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার এমনকি খ্রিষ্টানদের মসজিদে হারাম বাদে সকল মসজিদে প্রবেশ ও ইবাদতের অনুমতি দেয়া উচিত।
টিবিজেড/
Leave a reply