শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিনে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী।
গতকাল (২৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রীলংকার গোয়েন্দা বাহিনীর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রথম আত্মঘাতী হামলার দুই ঘণ্টা আগেই তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত সরকার সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ এবং ২০ এপ্রিল একই ধরনের বার্তা শ্রীলংকা সরকারকে দেয়া হয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতে সাড়া প্রদান করেনি শ্রীলংকার সরকার।
রোববার ইস্টার সানডের দিনে গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ এ দাঁড়িয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শ্রীলংকার তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ৩২১ জন নিহতসহ আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক।
নিহতদের মধ্যে ৩১ বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এই প্রাণঘাতী হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই শ্রীলংকান। দেশটির বহু সংখ্যালঘু খ্রিস্টান এতে হতাহত হয়েছেন।
হতাহতদের মধ্যে ৮ ভারতীয়, ৩ ডেনমার্কের নাগরিক, ২ স্প্যানিশ, ২ অস্ট্রেলিয়ান , ২ চীনা নাগরিক রয়েছেন।
এছাড়াও অন্তত চার আমেরিকান নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের দুই নাগরিকও এ হামলায় নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও নিহতের তালিকায় নেদারল্যান্ডস, জাপান, পর্তুগালের নাগরিক রয়েছেন।
ওই হামলা ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ৮ বছর বয়সী নাতি জায়ান চৌধুরী।
আহত হয়ে শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ হামলা ঘটনার তিন পর হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। মঙ্গলবার আইএসের মুখপাত্র আমাক থেকে হামলার দায় স্বীকার করা হয়। তবে এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি আইএস।
Leave a reply