ভারতে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় উপকরণ হয়ে দাড়িয়েছে গরু। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনেও ফের ফিরে এল ‘গোমাতা’। সৌজন্যে অবশ্যই সেই বিজেপি।
ভূপাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সোমবার দাবি করেছেন, গোমূত্র থেকে তার স্তন ক্যান্সার রোগ সেরেছে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের উপশম হয়েছে গোমূত্রে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া এই সাক্ষাতকারে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
গোমাতা-গোমূত্র এবং বিজেপি নেতাদের নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটেছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং গরুর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। সেই সময়েই তিনি গরু এবং গোরক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ মিন্তব্য করেছেন। গরুর গুরুত্বের কথা তুলে ধরতে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
সোমবার ভূপাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মলেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করা নিয়েও শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
ওইদিন সমাজে এবং মানবজীবনে গরুর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। বর্তমানে গুরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে সাধ্বীর বক্তব্য, ‘গোধন অমৃত সমান’। এরপরেই তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলাম। নিজেই তা নিরাময় করতে সক্ষম হয়েছি। গোমূত্র এবং পঞ্চগভ্য মিশ্রনে তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধে আমার ক্যান্সার সেরে গেছে।
গরুর সেবা করলে মানুষের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেও দাবি করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তবে এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে গোমাতার সেবা করতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তার কথায়, গরুর পিছন থেকে সামনে পর্যন্ত হাত দিয়ে আদর করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উল্টো করলে শরীর অস্থির হয়ে যাবে। এটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞান বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার আরো দাবি, গরুর গোয়াল তপস্যা করার জন্য আদর্শ স্থান।
যমুনা অনলাইন/কিউএস
Leave a reply