পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কারখানা নদীতে সুন্দরবন ৮ লঞ্চের ধাক্কায় মহিষ বোঝাই ট্রলারে ঘুমিয়ে থাকা দুই ব্যক্তি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হবার ৯ ঘন্টা পর নদীর চর থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
পরে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় ওই কার্গোর মাঝি আঃ খালেক গুরুতর আহত হয়েছেন, তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, মনির হোসেন লক্ষীপুর জেলার চর রমনী এলাকার খোরশেদ হোসেনের পুত্র এবং নুরুল আলম লক্ষীপুর জেলার চরহাসান এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র।
ফায়ার সার্ভিস পটুয়াখালী স্টেশন লিডার খবির উদ্দিন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে কারখানা নদীর মিয়াবাড়ীর মোড় এলাকায় লঞ্চের ধাক্কায় মহিষ বোঝাই কার্গোটির উপরে ঘুমিয়ে থাকা ওই দুইজন নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন (৪০) এবং নুরুল আলম (৬৫) এর মৃতদেহ দুপুর সোয়া বারোটার দিকে উদ্ধার করেন।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, নিহতদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও অভিযোগ করা হয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ আনোয়ার হোসেন দাবি করেন তাদের লঞ্চ কোনো ট্রলার কিংবা নৌযানকে আঘাত করেনি। তিনি জানান, দুর্ঘটনার যে সময় বলা হচ্ছে সে সময় তাদের লঞ্চ দুর্ঘটনার ওই স্থানে পৌঁছেনি।
ওই লঞ্চের সুকানী মোঃ কবির হোসেন দাবি করেন, তাদের জানা মতে তাদের লঞ্চে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নৌবন্দরের উপ পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, কোন লঞ্চের ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
Leave a reply