নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মাদকসহ তপন চন্দ্র সরকার নামে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আটকের পর স্থানীয় আ.লীগ নেতার জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মাসকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া বকুলের জিম্মায় ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশের একটি দল সিভিল পোশাকে উপজেলার জয়কা সাতাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারকে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মাসকা বাজার এলাকায় আটক করে। এ সময় তার দেহ তল্লাশি করা হয়। সেই সাথে থাকা মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ পলিথিনে মোড়ানো সাদা রঙের দুই প্যাকেট মাদকও (হিরোইন) উদ্ধার করে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল লতিফ মেম্বার জানান, আমি মাসকা বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। মানুষের ভিড় দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখি শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় শিক্ষকের মোটরসাইকেল থেকে সাদা রঙের পাউডার জাতীয় দুইটি প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিশ।
শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কে বা কারা আমার মোটরসাইকেলে দুই প্যাকেট মাদক রেখেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানির করার জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
মাসকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া বকুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি যেহেতু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা এবং ওই শিক্ষক ও আমার এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। তাই আমি শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারকে আমার জিম্মায় থানা থেকে নিয়ে এসেছি। তাছাড়া কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির নির্দেশে আমি ওই শিক্ষককে থানা থেকে নিয়ে এসেছি। যেহেতু তিনি একজন শিক্ষক তাকে পুলিশে এভাবে নাজেহাল করা ঠিক হয়নি বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজীর সাথে কথা হলে তিনি শিক্ষকের কাছ থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার মাদকের সাথে জড়িত বলে মনে হয়নি। কেউ শত্রুতা করে তাকে হয়রানি করার জন্য পাউডারের গুড়া রেখে কেউ এটা করেছে। তাই ওই শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী ভূঁইয়া বকুলের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
Leave a reply