পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ফেনীর পর এবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার আসামিদের রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা নিয়ে গোটা জেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযুক্ত আসামিদের পরিবারের উদ্যোগে অর্ধশত মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। সকালে উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগ’র মহিপুর থানা শাখার সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমানসহ আসামিদের পরিবারের সদস্যরা। মানববন্ধনে বক্তারা মামলার বাদী সিদ্দিককে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, পতিতা ও মাদক ব্যবসায়ী বলে স্থানীয় নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি করেন।
এর আগে ১৫ এপ্রিল রাতে উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে শাহ আলম, শাহিন, রবিউল, আল আমিন, আ: রশিদ ও শাকিল মৃধাসহ অজ্ঞাত ৭/৮ যুবক সিদ্দিকের স্ত্রীকে প্রথমে ঘরে আটকে এবং পরে একটি মাছের ঘেরের ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে। ১৬ এপ্রিল সকালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৭এপ্রিল ভিকটিমের স্বামী মো: সিদ্দিক পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা মহিপুর থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন। পরে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি রবিউল (২৮) ও সন্দেহজনক আসামী মামুন খলিফা (৩০) কে উপজেলার পশ্চিম চাপলি এলাকা থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলায় পালিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার করা হয়।
এরপর শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি। মামলার গুরুত্বপূর্ন আলামত সংরক্ষণ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিলের পর ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীতবক গ্রামে এক নববধূ ফের ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করাসহ ৪ জনের নামে মামলা রেকর্ড করলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ। এরপর ২৬ এপ্রিল কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়ে সৈকতের গঙ্গামতি লেকের পশ্চিম পাশের ঝাউবাগান এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা ও তার বোন নাসরিন বখাটেদের হাতে লাঞ্চিত হয়।
Leave a reply