নিদলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো অবস্থাতেই বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রোববার বিকালে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে তিনি বলেন, চলমান সংকট নিরসনে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। সে নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়ন থাকবে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের ভীড় ঠেলে বেলা সোয়া তিনটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগেই ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
মঞ্চে উঠে নেতা-কর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। করতালিতে আর শ্লোগানে শ্লোগানে খালেদা জিয়াকেও অভিনন্দন জানান নেতা-কর্মীরা। বক্তব্যের শুরুতেই সমাবেশে আসতে নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। এমনকি তাঁর আসার পথেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায়। তাই তারা বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিতে চায় না, বাধার সৃষ্টি করে। আজ রোববার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সমাবেশে এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি আরও বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই, দেশের কল্যাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এরা যে এত ছোট মনের আজকে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রমাণ করে দিয়েছে। এত ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। এরা মানুষকে ভয় পায়। এজন্য ৭ নভেম্বর আমাদের জনসভা করতে দেয়নি। আজকে অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু জনগণ যেন আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে। গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরের জেলার মানুষ যেন না আসতে পারে। রাজধানীর হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
দীর্ঘ ১৯ মাস পরে রাজধানীর কোনো সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল মালেক কোরআন তেলাওয়াত করেন।
৭ই নভেম্বর উপলক্ষে আজকের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করছেন। এতে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
Leave a reply