বাংলাদেশে ফণির আঘাতের সময় অতি ভারী বর্ষণসহ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই সঙ্গে দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ।
তিনি জানান, আইলা কিংবা সিডর নয়, ঘূর্ণিঝড় ফণির ধরণ অনেকটা ঘুর্ণিঝড় মহাসেনের মতো। ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের মতো বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফণি। আঘাত হানার সময় মহাসেনের গতি ছিল ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। ফণির গতি থাকতে পারে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার।
সামছুদ্দিন আহমদ জানান, ভারতের ওড়িষ্যাতে সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় অর্ধেক বা তার চেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে এটি।
তিনি বলেন, ফণি আজ বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে। প্রথমে খুলনাঞ্চলে আঘাত হানবে। এর প্রভাবে দেশে গাছপালার ক্ষতি হতে পারে। তবে প্রাণহাণির শঙ্কা নেই বললেই চলে।
Leave a reply