দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। বর্তমানে এটি সাতক্ষীরা, যশোর ও খলনায় অবস্থান করছে। ঘণ্টায় ২৬ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর দিকে। এই মুহূর্তে বাতাসের গতিবেগ আছে ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রায় ঘণ্টা ছয়েক বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থানের পর দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পর্যবসিত হবে ফণি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। উত্তাল রয়েছে সাগর। বৈরি আবহাওয়ায় নদী পথে সব ধরণের নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফণি’র কারণে এখনও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সতর্কতা জারি রয়েছে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলা সংলগ্ন চরাঞ্চলে। চট্টগ্রাম বন্দরে এখনও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বিরাজ করছে। এই সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং আশপাশের চরগুলোতে। আর কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতোই ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এরইমধ্যে, ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে, ঘরচাপায় ও বজ্রপাতে বাগেরহাট-কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, বরগুনা, ভোলা ও নোয়াখালীতে ১৪ জন নিহত হয়েছে।
Leave a reply