‘যদি মন কাঁদে’ অথবা ‘ও আমার উড়াল পঙ্ক্ষীরে’ এমন গানের মধ্য দিয়ে জীবনের অনেক জটিল সমীকরণকে যিনি সরলীকরণ করেছেন, তিনি নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর ৬৯তম জন্মদিবস আজ। লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শুরু হচ্ছে ‘হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা’।
১৯৪৮ সালে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন। উপন্যাস, নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। ২০১১ সালে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। উন্নত চিকিত্সার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তবে, ভক্তদের কাছে তিনি বেঁচে আছেন তার সাহিত্যকর্মের মাঝে। এখনো হুমায়ূনের লেখা, গানের কথায় মানুষ খুঁজে পায় তাদের সত্তাকে। হুমায়ূন আহমেদের হৃদয় ছুয়ে যাওয়া গান আন্দোলিত করে সব বয়সীদের। কথা আর সুরের মায়াজালে হারায় প্রতিটি হৃদয়। অনবদ্য সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বাঙালির মননে আছেন, থাকবেন এমন বিশ্বাস সাহিত্যপ্রেমীদের।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply