পারিশ্রমিক চাওয়ায় চোখের মধ্যে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে এক কিশোরের চোখ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, অভাবের সংসারে হাল ধরতে মিলন সিদ্ধান্ত নেয় কাজ করার। তাই চাচাতো ভাই মামুনের সাথে ডিস লাইনের কাজ শুরু করে। কাজ করলেও মিলন হোসেনকে দেয়া হতো না বেতন। গত ১২ এপ্রিল পারিশ্রমিকের টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মিলনের চোখে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয় তার চাচাতো ভাই মামুন। এতে তার দুচোখ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার।
নজিরবিহীন এ বর্বরতায় গুরুতর আহত মিলন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ৩০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মামুনসহ তিনজনকে আসামি করে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা করেছে পরিবার।
মিলন হোসেন জানায়, ‘ঘটনার দিন বিকেলে নিউটেক্স গেটের পাশে আনিস মুন্সির তিনতলা বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় তাকে । নেওয়ার পর মামুন জিজ্ঞেস করে, কেন তার কাছে ডিশলাইনে কাজের টাকা চেয়েছি। সে টাকা দিতে পারবে না। এ নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে মামুন তার ডান চোখে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে ঘোরাতে থাকে। এতে মিলন অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
ঢামেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফরিদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে মিলনের। ডা. ফরিদুল বলেন, রোগীর ডান চোখ একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। দৃষ্টিশক্তি আর কখনই ফিরে পাবে না। বাঁ চোখের অবস্থাও ভালো নয়। এটির দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসার সম্ভাবনাও খুব কম।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, ঘটনার পর মিলনের পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করতে আসেনি। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
Leave a reply