শয্যাসঙ্গী হওয়ার বিনিময়ে বাসা ভাড়া দেয়ার অফার!

|

টাকার বিনিময়ে বাসা ভাড়া নেয়া বা দেয়া হয়। আমরা অন্তত এমন রীতিতেই অভ্যস্ত। কিন্তু বাসা ভাড়া দেয়ার বিকল্প বিনিময়ও যে চাওয়া যেতে পারে তা অনেকে হয়তো কল্পনাও করবেন না।

ব্রিটেনের পত্রিকা ডেইলি মিরর জানাচ্ছে, দেশটির বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে, মালিকরা তাদের বাসায় তরুণী ভাড়াটিয়াদেরকে ফ্রি থাকতে দিতে চান। বিনিময়ে সপ্তাহে দুই/তিন দিন তাদের শয্যাসঙ্গী হতে হবে শুধু!

বিভিন্ন বাসাভাড়ার ওয়েবসাইটে বা সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়ার পর মিরর এসব মালিককের কাছে পৌঁছাতে ছদ্মবেশী রিপোর্টারদেরকে পাঠায়।

ইস্ট সাসেক্স এলাকার ৪০ বছর বয়সী এক বাসার মালিকের কাছে নারী রিপোর্টার বাসা ভাড়া চাইতে গেলে তিনি জানান, সপ্তাহে তিন দিন মেলামেশা করতে রাজি হলে তিনি বাসা দিয়ে দেবেন। এর বাইরে কিছু তিনি চাননা। নতুন সম্ভাব্য নারী ভাড়াটিয়াকে আকৃষ্ট করতে তিনি নানা কিছু বলেছেনও।

এরমধ্যে তিনি এটাও জানিয়েছেন, আরও আটজন নারী নাকি একই বাসা ‘শয্যাসঙ্গী হওয়ার বিনিময়ে’ নিতে ইতোমধ্যে রাজি হয়েছেন। ছদ্মনামী নতুন ভাড়াটিয়ার বয়স মাত্র ২২ বছর জানার পর ওই বাসার মালিক আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার কাছে ‘গোপনীয়’ ছবি চেয়ে বসেন।

তার ভাষায়, ‘আমি কী নিচ্ছে আগে দেখে নিতে চাই!’ যখন ওই ছদ্মনামী নারী রিপোর্টার তার সাথে দেখা করতে যান, তখন নারীকে নিজের গাড়ির মধ্যে নিয়ে নিজের ‘বিশেষ স্থান’ দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। শুধু ওই ঘটনা নয়। মিরর জানাচ্ছে, ব্রিটেনজুড়ে এমন অনেক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে তরুণ বা একাকী থাকা নারী ভাড়াটিয়াদেরকে বাসার মালিকরা হয়রানি করে থাকেন।

গত জানুয়ারি মাস থেকে বাসার মালিকদের এমন আচরণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে ব্রিটেনের আদালত। কেউ এভাবে কোনো নারীকে হয়রানি করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কয়েক বছর আগে মামুনুর রশীদ নামে এক বাসার মালিক ৩ নারীকে এমন অফার দেয়ার পর তারা রাজি না হওয়ায় তাদেরকে ধর্ষণ করেন তিনি। বর্তমানে ১৮ বছরের জেল খাটছেন মামুন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply